প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনকারীদের সাথে তিনি বসতে চান।
শনিবার গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, গণভবনের দরজা শিক্ষার্থীদের জন্য সব সময় খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। সব বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। আমি আর সংঘাত চাই না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার সাথে যদি বসতে চায় আমি এখনও রাজি। তারা যদি এখনও আসতে চায় কথা বলতে চায় আমি তাদের সাথে কথা বলতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। তাদের দাবি কী কী বাকি আছে শুনতে চাই। আমাদের সাধ্যমতো সেটা পূরণ করতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।
তিনি বলেন, তারা যদি আমার সঙ্গে বসতে চায়, আমি বসবো। তাদের কথা শুনবো। তাদের দাবি-দাওয়া যা মানার মেনেছি, আরও কিছু আছে কি না সেটা শুনতে হবে। আপনাদের সামনে আমি বলতে চাচ্ছি, দেশবাসীরও জানা উচিত, আমি কখনোই আমার দরজা বন্ধ করিনি। গণভবনের দরজা খোলা। যখনই আন্দোলনকারীরা কথা বলতে চায়, আলোচনা করে সমাধান করতে চায় আমি তাদের সঙ্গে বসতে রাজি। যে কোনো সময় তারা আসতে পারে, আলোচনা করতে পারে। দরকার হলে তাদের অভিভাবকদের নিয়ে আসতে পারে।
শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিতে আয়োজিত গণমিছিলে পুলিশ, ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার অভিযোগ এসেছে। এর প্রতিবাদে শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাকও দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এরই মধ্যে এ ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে শুক্রবার রাতে গণভবনে এক জরুরি বৈঠকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে দলের তিন নেতাকে দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়।